ব্লাক গার্লিক
ব্লাক গার্লিক (Black Garlic) - 500G Original price was: 2,000 ৳ .Current price is: 1,400 ৳ .
Back to products
খেজুর গুড়
নাটস + খেজুর গুড় কম্বো ( Nuts & Khejur Gur) Original price was: 1,400 ৳ .Current price is: 850 ৳ .

খেজুর গুড় (Khejur Gur) – 3KG

(2 customer reviews)

Original price was: 2,100 ৳ .Current price is: 1,400 ৳ .

Description

খেজুর গুড় হলো খেজুর রস থেকে তৈরি করা গুড়। আগুনের উত্তাপে খেজুর রসকে ঘন ও শক্ত করে খেজুর গুড় প্রস্তুত করা হয়। শীতের পিঠা-পায়েসের বেশিরভাগ তৈরিতেই ব্যবহার হয় খেজুর গুড়। খেতে অনেক সুস্বাদু ও পুষ্টিকর এই খেজুর গুড়। শীতে শরীর গরম রাখতে কিংবা সর্দি-কাশি ও জ্বরের মতো রোগ থেকেও দূরে থাকতে খেজুরের গুড় খাওয়া হয়।

খেজুর গুড়ের স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলো হলো :

  1. রক্তস্বল্পতা দূর করে :

    খেজুর গুড়ে প্রচুর পরিমাণে আয়রন (লোহা) থাকে, যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এটি রক্তস্বল্পতা (অ্যানিমিয়া) দূর করতে সহায়ক।

  2. শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক :

    খেজুর গুড় শরীরকে গরম রাখে, বিশেষত শীতকালে। এটি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং শীতজনিত বিভিন্ন সমস্যার বিরুদ্ধে সুরক্ষা দেয়।

  3. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সহায়ক :

    খেজুর গুড় রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা (LDL) কমাতে সাহায্য করে এবং ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বাড়ায়। এটি হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতেও সহায়ক।

  4. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে :

    খেজুর গুড়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং মিনারেল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি ফ্রি র‍্যাডিক্যালের ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে।
  5. হজমশক্তি উন্নত করে :

    খেজুর গুড় পেট পরিষ্কার রাখতে সহায়ক। এটি হজমশক্তি উন্নত করতে পারে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। খেজুর গুড় খাওয়ার পর অন্ত্রের কার্যকলাপ সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়।
  6. শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্যে সহায়ক :

    গরম পানিতে খেজুর গুড় মিশিয়ে পান করলে এটি কফ দূর করে এবং শ্বাসযন্ত্র পরিষ্কার রাখে।
  7. তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায় :

    এতে প্রাকৃতিক শর্করা (গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, সুক্রোজ) থাকে, যা তাৎক্ষণিক শক্তি প্রদান করে। এবং এটি ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।
  8. শীতকালীন সুরক্ষা :

    খেজুর গুড় শরীরকে গরম রাখতে সহায়ক, তাই শীতকালে এটি বিশেষভাবে উপকারী। সর্দি-কাশি প্রতিরোধেও এটি কার্যকর।
  9. ডিটক্সিফিকেশন (শরীর পরিষ্কার) :

    খেজুর গুড় লিভার এবং কিডনি থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে কার্যকর।
  10. ত্বক এবং চুলের যত্নে উপকারী :

    খেজুর গুড় শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে, যা ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এটি চুলের গঠন মজবুত করতেও সহায়ক।
  11. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক :

    খেজুর গুড়ে পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো খনিজ উপাদান থাকার কারণে এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
  12. হাড় মজবুত করে :

    খেজুর গুড়ে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস থাকে, যা হাড়ের গঠন মজবুত করতে সাহায্য করে। ব্যায়ামের পর এটি খেলে শরীরে দ্রুত শক্তি ফিরে আসে।
খেজুর গুড়

খেজুর গুড় খাওয়ার নিয়ম :

  1. সকালে এক গ্লাস কুসুম গরম পানির সাথে খেজুর গুড় মিশিয়ে খেলে হজম ভালো হয়।
  2. শীতকালে চা বা দুধে মিশিয়ে খেতে পারেন, এতে শরীর গরম থাকবে।
  3. খেজুর গুড়ের সঙ্গে বাদাম বা তিল মিশিয়ে খেলে এটি আরও পুষ্টিকর হয়। এবং সারাদিনের পুষ্টির চাহিদাও পূরণ হবে। এজন্যে আমাদের নাটস ও খেজুর গুড় কম্বোটি নিতে পারেন। রেষ্টেড থাই- বাদাম ও খেজুর গুড় পুষ্টিতে ভরপুর ও অসাধারণ সুস্বাধু একটি খাবার।

খেজুর গুড়ের পুষ্টিগুণ ও পরিমাণ

খেজুর গুড় প্রাকৃতিক মিষ্টির একটি অনন্য উৎস, যা পুষ্টি এবং স্বাস্থ্য উপকারিতার দিক থেকে চিনি বা অন্যান্য মিষ্টির তুলনায় অনেক এগিয়ে। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন, খনিজ এবং প্রাকৃতিক শক্তি রয়েছে, যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়ক।

ভিটামিন ও খনিজ উপাদান

ক্যালোরি /পরিমাণ

স্বাস্থ্য উপকারিতা

কার্বোহাইড্রেট (শর্করা)

প্রতি ১০০ গ্রাম গুড়ে প্রায় ৬৫-৮৫ গ্রাম শর্করা থাকে।

খেজুর গুড় একটি প্রাকৃতিক শর্করার উৎস, যা সহজে হজম হয় এবং দ্রুত শক্তি প্রদান করে।

আয়রন (লোহা)

প্রতি ১০০ গ্রাম গুড়ে প্রায় ১১-১৩ মিলিগ্রাম আয়রন থাকে।

খেজুর গুড় আয়রনের একটি চমৎকার উৎস, যা রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে এবং রক্তস্বল্পতা দূর করে।

ক্যালসিয়াম

প্রতি ১০০ গ্রাম গুড়ে প্রায় ৮০-১০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে।

এটি হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত করতে সাহায্য করে এবং শরীরের ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণে সহায়ক।

ফসফরাস

প্রতি ১০০ গ্রাম গুড়ে প্রায় ২০-২৫ মিলিগ্রাম ফসফরাস থাকে।

ফসফরাস শক্তি উৎপাদনে সাহায্য করে এবং কোষের কার্যকারিতা উন্নত করে।

পটাসিয়াম

প্রতি ১০০ গ্রাম গুড়ে প্রায় ১০৫০ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম থাকে।

পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক এবং পেশির কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।

কিভাবে খেজুর গুড় সংরক্ষণ করবেন?

খেজুর গুড় যেকোনো ইন্টেক্ট প্লাস্টিক জারে ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত রেখে খেতে পারবেন বা সংরক্ষণ করতে পারবেন। তবে কিছুদিন পরপর খেজুর গুড় বের করে রোদে দিতে পারেন, এতে খেজুর গুড়ের আদ্রতা ঠিক থাকবে ও টাটকা থাকবে এবং বেশিদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারবেন। এভাবে যেকোনো প্লাস্টিক জারে বা বক্সে খেজুর গুড় সারাবছর সংরক্ষণ করতে পারবেন।

Reviews (2)

2 reviews for খেজুর গুড় (Khejur Gur) – 3KG

  1. FARHADUL HOQUE

    Ma sha Allah

  2. aslsmhasan

    Alhamdulillah..

Add a review

Your email address will not be published. Required fields are marked *