গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেট ব্যথায় ইসবগুলের ভূসির উপকারিতা | Falaq Food

শরীর সুস্থ রাখার জন্য হজমব্যবস্থা ঠিক রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বর্তমান ব্যস্ত জীবনে অনিয়মিত খাবার, কম পানি পান করা ও প্রক্রিয়াজাত খাবারের কারণে অনেকেই নিয়মিত ভুগছেন গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেট ব্যথায়।
এই সমস্যাগুলোর জন্য একটি সহজ, প্রাকৃতিক ও কার্যকর সমাধান হলো — ইসবগুলের ভূসি।
ফালাক ফুড আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছে খাঁটি, প্রাকৃতিকভাবে প্রক্রিয়াজাত ইসবগুলের ভূসি, যা হজমজনিত নানা সমস্যার জন্য কার্যকর ও নিরাপদ সমাধান।
ইসবগুলের ভূসি কী?
ইসবগুলের ভূসি (Psyllium Husk) হচ্ছে Plantago Ovata উদ্ভিদের বীজের বাইরের আবরণ। এটি প্রাকৃতিক এক ধরনের দ্রবণীয় আঁশ (soluble fiber), যা জল শোষণ করে একটি জেলি জাতীয় পদার্থে পরিণত হয়।
এটি হজম ব্যবস্থাকে সহায়তা করে, মল নরম করে, এবং অন্ত্রের গতিবিধি স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
ইসবগুলের ভূসি কীভাবে কাজ করে?
ইসবগুল একটি দ্রবণীয় আঁশ, যা পানির সঙ্গে মিশে জেলির মতো একটি স্তর তৈরি করে। এই জেল:
মলের ভলিউম বাড়িয়ে তা সহজে নির্গমনে সাহায্য করে
অন্ত্রে থাকা বিষাক্ত উপাদান ও অতিরিক্ত অ্যাসিড শোষণ করে
হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে
পেট ঠাণ্ডা রাখে ও ফোলাভাব কমায়
গ্যাস্ট্রিকের ক্ষেত্রে ইসবগুলের উপকারিতা:
পেটের গ্যাস ও অম্লতা নিয়ন্ত্রণে
ইসবগুল পানির সঙ্গে মিশে পেটের ভেতর ফাঁপা ভাব কমায় এবং অতিরিক্ত অ্যাসিড শোষণ করে, ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে।
অস্বস্তিকর ঢেঁকুর ও পেট ফাঁপার সমাধান
ইসবগুল পাকস্থলীর অতিরিক্ত গ্যাস শোষণ করে নেয়, ফলে পেট ফাঁপা, ঢেঁকুর, বুকজ্বালাসহ গ্যাস্ট্রিকের উপসর্গগুলো কমে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে ইসবগুল:
মল নরম করে ও সহজে নির্গমনে সাহায্য করে
ইসবগুল পানির সঙ্গে মিশে অন্ত্রে ফাইবার যুক্ত জেল তৈরি করে, যা মল নরম করে ও স্বাভাবিকভাবে বের হতে সাহায্য করে। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যজনিত ব্যথা, চাপ ও অস্বস্তি দূর হয়।
দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠকাঠিন্যে নিরাপদ ও কার্যকর
প্রচলিত ল্যাক্সেটিভের মত সাইড এফেক্ট ছাড়াই ইসবগুল দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারযোগ্য।
পেট ব্যথার ক্ষেত্রে ইসবগুলের ভূসির ভূমিকা:
অন্ত্র পরিষ্কার রাখে
অন্ত্রে জমে থাকা বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থ ইসবগুলের আঁশ টেনে বের করে দেয়, ফলে পেট ব্যথার কারণগুলো অনেকটা হ্রাস পায়।
পেটের শ্লেষ্মা আবরণ রক্ষা করে
ইসবগুল একটি প্রাকৃতিক “কোটিং” তৈরি করে অন্ত্রে, যা জ্বালাভাব ও ইনফ্লেমেশন কমায়।
ইসবগুল খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি:
সময় |
পরিমাণ |
কিভাবে খাবেন |
---|---|---|
সকালে খালি পেটে |
১-২ চা চামচ |
১ গ্লাস হালকা গরম পানির সঙ্গে |
দুপুর বা রাতের খাবারের পরে |
১ চা চামচ |
দই, লেবু-পানি বা দুধের সঙ্গে |
গ্যাস্ট্রিক সমস্যায় |
১ চা চামচ |
খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে পানির সঙ্গে |
রোজার সময় |
সাহরি বা ইফতারে |
শরীরে হাইড্রেশন বজায় রাখে |
✅ সতর্কতা: ইসবগুল খেয়ে প্রচুর পানি পান করুন — তা না হলে মল আরও শক্ত হয়ে যেতে পারে।
আরও কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা:
✅ ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
✅ রক্তে চিনি শোষণের হার কমায় → ডায়াবেটিসে উপকারী
✅ হাই কোলেস্টেরল কমায়
✅ রোজার সময় পেট ঠাণ্ডা রাখে ও দীর্ঘক্ষণ পূর্ণতার অনুভূতি দেয়
উপসংহার
প্রাকৃতিক ভাবে হজম ঠিক রাখা, গ্যাস্ট্রিক ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সহজ ও সাশ্রয়ী উপায় হচ্ছে ইসবগুলের ভূসি। আমাদের ইসবগুলের ভূসি সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন, যা আন্তর্জাতিক মানের পরীক্ষা পাস করে বাজারজাত করা হয়। তাই এখনই অর্ডার করুন।